রোজায় দাম নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ ছিল জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ছিল। শুধু রমজান নয়, সারা বছরই বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করবে বলেও জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। দেশবাসী স্বস্তি ও উৎসাহ নিয়ে ঈদ ও নববর্ষ পালন করেছে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করায় সাধারণ মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটা সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, বাজারের পরিস্থিতি ঢাকায় এক রকম, গ্রামে আরেক রকম। কৃষক যে দামে ফসল বিক্রি করে, ঢাকায় এসে তা কয়েকগুণ বেশি দামে বিক্রি হয়।

চালের বস্তায় দাম লেখার অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় সঠিক উত্তর দিতে পারবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো কিছু থাকলে সমন্বয় করা হবে। প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয় যার যার কাজ করে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হলো বাজার ব্যবস্থাপনা ও পণ্যের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখা। বিশেষ করে আমদানি করে যে সব জিনিস আনা হয়। আর স্থানীয় কৃষি পণ্য ও খাদ্যের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে।
 
পহেলা বৈশাখ থেকে চালের দাম লেখার বিষয়টি কার্যকর করবেন বলে জানিয়েছিলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ বিষয়টি ইস্যু করেছে। তারপর কি হয়েছে তাদের সঙ্গে কোঅরডিনেশন মিটিং করে বলতে পারব।
 
গ্রামে বেগুন ৫ টাকা সেটা শহরে এসে ৭০ টাকা হয়, এ বিষয়ে কি কাজ করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে টিটু বলেন, এটি কৃষি বিপণন অধিদফতর ভালো বলতে পারবে। বাজার ব্যবস্থাপনার আমদানি ও পাইকারি বাজার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন। দাম নিয়ন্ত্রণে রমজান মাসে যেভাবে কাজ করেছি, সারাবছর একইভাবে কাজ করব। তেল, চিনিসহ আমদানি বাজারে যেসব জিনিস রয়েছে সেগুলোতেই নজরদারি থাকবে।